হেড অফিসের ছোটোবাবু, লোকটি বেজায় শান্ত
শুধু সকাল থেকে রাতের বেলা, দেখায় উদভ্রান্ত
ঝাঁকড়া চুলে পাখির বাসা, গোটাকয়েক উকুন তায়
ধরে পাশে বসিয়ে দিলে, ভামের ব্যাটাও অক্কা পায়
জামার রঙটি ধরতে পারে, এমন কারুর সাধ্য নেই
বলবে যখন অনেক কথা, সামনে কেবল বসতে নেই
বলবে যাহা, নাড়বে মাথা, বাবু আমার বাধ্যটি
চেয়ার থেকে ওঠায় তাকে, এমন কারুর সাধ্য কি!
কাজ পড়েছে, অনেক বুঝি? না হে, তোমার চিন্তা নেই
মনের সুখে আরাম করো, তোমার কাজও করবে সে'ই
যতই করো লম্ফঝম্প, যতই বলো "তফাৎ যাও"
লাভ নেইকো! ঠ্যাংটি তুলে, আরাম করে লস্যি খাও
দিনের শেষে, রাতের বেলা, আপিস যখন বেবাক খালি
ওই দেখোনা, এক কোনাতে, জ্বলছে আলো একটি খালি
রাত হয়েছে, ভাবছো বুঝি, ছোটোবাবু ফিরবে কি?
মিছেই তুমি ভাবছ এত, দাঁড়িয়ে আছে ট্যাক্সিটি
আপনমনে গুড়গুড়িয়ে, পেরিয়ে সিঁড়ির প্রান্তটি
যে যাই বলো, মানতে হবে, লোকটা বড় শান্তটি!
এই জন্যি রাগ ধরে। এমন পারা লিখতে পারো তো লেখোনা কেন বাপু? রবি ঠাকুর, জীবনানন্দের কয়েক কোটি ভক্ত ঠাকুর বা জিবু বাবুর পানা কবিতা লেখে। সুকুমার রায়ের পদাঙ্ক অনুসরন করবার ধক তো দেখিনা কারোর মধ্যে। তুমার মধ্যে সেইটা আছে ভায়া। এটাই তোমার লাইন। লিখে যাও।
ReplyDeleteভদ্দরলোকটির জন্যে ছোটবেলায় অনাবিল আনন্দ পেয়েছি। বড্ড মনের মত লিখতেন যে - উল্টোপাল্টা, আবোল-তাবোল, হাবিজাবি-হিজিবিজি। ওনার লেখা আবোল-তাবোল আমার আজপর্যন্ত পড়া সমস্ত লেখার মধ্যে একমাত্র লেখা যা আমাদের ছোটবেলার কল্পনার জগৎকে আক্ষরিক অর্থে অক্ষরে তুলে ধরতে পেরেছে। আক্ষরিক অর্থে। আমার দ্বারা সিরিয়াস লেখাপড়া তো হবেনা, ওই ফাজলামো আর হাবিজাবিই চালিয়ে যাই আরকি!
DeleteEi kobitata ki bhaloooo.
ReplyDelete